রহমত নিউজ ডেস্ক 07 May, 2023 08:32 PM
গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণঅধিকার পরিষদের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোট থেকে গণঅধিকারের বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিরোধী দল সম্পর্কে সরকারি প্রচারণাকেই উৎসাহিত করবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
আজ (৭ মে) রবিবার বিকfলে সেগুনবাগিচার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে মঞ্চের বিশেষ সভা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণঅধিকার পরিষদ নিজেদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘যখন আমরা একটা ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং রাষ্ট্র-প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে আছি, যখন মানুষ বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে দেখতে চায়, আন্দোলন যখন একটা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে—তখন মঞ্চ থেকে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া একটা নেতিবাচক বার্তা দেয়। সরকার বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে বিভক্তি তৈরি করতে চায়। এই প্রত্যাহার গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো সম্পর্কে সরকারি প্রচারণাকে উৎসাহিত করবে। আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক ১৪ দফার যে প্রস্তাবনা, সেগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মতবিরোধ নেই। আমরা জোটের যে সাধারণ নীতিমালা অনুসরণ করি, সেগুলো নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় কথা বলেছে। আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যেকোনো দল আমাদের সঙ্গে আসতে পারে। আবার কেউ যদি মনে করে নিজেদের প্রত্যাহার করবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী—সেটাও তারা করতে পারে। তবে তাদের এই প্রত্যাহার জনমনে অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এখন তাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব।